করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন খ্যাতনামা টিভি ব্যক্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রে সিএনএনের সাংবাদিক ল্যারি কিং। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ৮৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। ল্যারি কিংয়ের ফেসবুক পাতায়, ইউএস টুডের প্রতিবেদনে এবং সিএনএনের এক প্রতিবেদনে ল্যারির ছেলে চান্সের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়।
চান্স কিং সিএনএনকে জানান, শনিবার সকালে তার বাবা মারা গেছেন। ল্যারি কিংয়ের ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিং পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, জানুয়ারির গোড়ার দিকে সিডারস-সিনাইয়ে করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিং। তবে প্রাথমিকভাবে তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানানো হয়নি।
একটানা ২৫ বছর সিএনএনে ‘ল্যারি কিং লাইভ’ নামে টকশো সঞ্চালনা করে এসেছিলেন ল্যারি কিং। তিনি ৬৩ বছর ধরে রেডিও, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার জীবনে তিনি হাজার হাজার মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তারকাদের নিয়ে আলোচনা করতে করতে একপর্যায়ে ল্যারি কিং নিজেই তারকা হয়ে ওঠেন। ‘ল্যারি কিং লাইভ’ নামে আলোচিত অনুষ্ঠান বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়।
দীর্ঘ ছয় দশকের বেশি সময়ের পেশাজীবনে নানা রকমের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে পিবডি ও অ্যামি অ্যাওয়ার্ডও। মৃত্যুর আগের বছরগুলোতে হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। কর্মজীবনে তিনি ইউএসএ টুডে পত্রিকায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে লিখে গেছেন। এ ছাড়া রাশিয়ার সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম হুলু ও আরটিতে ‘ল্যারি কিং নাউ’ নামে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন তিনি।