কিছুদিন ধরেই পার্লামেন্ট বনাম প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) পার্লামেন্টে মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার প্রস্তাব জমা পড়ে। তারপরেই মন্ত্রীরা একযোগে ইস্তফা দিয়েছেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে টুইট করে এই গণ ইস্তফার খবর জানানো হয়েছে।
সরকারি সংবাদসংস্থা কুনা জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাদ জাবের আল-সাবহ-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিই সব মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র সঙ্গে করে নিয়ে গেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছেন।
কুয়েতের পার্লামেন্টের নাম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। কুনা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা নিয়ে যে প্রস্তাব জমা পড়েছে, ৩০ জন সদস্য তা সমর্থন করেছেন। রয়টার্স জানাচ্ছে, এই পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, তার মধ্যে ভোটের ফলাফলের প্রতিফলন নেই। স্পিকার এবং বিভিন্ন কমিটির গঠন নিয়েও সরকার হস্তক্ষেপ করছে।
সংবাদসংস্থা এপি-কে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ আল-ইউসেফ জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট সদস্যরা ব্যবস্থার সংস্কার চাইছেন। কারণ, সরকার পুরনো কিছু মুখকেই বারবার দায়িত্ব দিচ্ছে। এই ব্যবস্থায় এই ধরনের ডেডলক হবেই।
শেখ-সাবহ ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে প্রশ্ন করা নিয়ে প্রস্তাব তিনজন এমপি জমা দিয়েছেন এবং ৩০ জন সমর্থন করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে কুয়েতই প্রথম দেশ যারা ১৯৬৩ সালে পার্লামেন্ট গঠন করে। গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টের নির্বাচন হয়েছে। তবে পার্লামেন্ট গঠিত হলেও আসল ক্ষমতা আল-সাবাহ পরিবার ও আমিরের হাতেই আছে। তাঁরাই সরকার নিয়োগ করেন।