নীলফামারীতে শত্রুতার জেরে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ৩৫ কৃষকের বোরো ধান আবাদের বীজতলা। এমন শত্রুতায় আসন্ন বোরো আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব কৃষক। জেলার সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নটখানা গ্রামে হাউদার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।শনিবার(২৬ ডিসেম্বর) ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা অভিযোগ করে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে বোরো আবাদের জন্য তৈরী ওই বীজতলায় আগাছা নাশক স্প্রে করা হয়েছে। ফলে প্রায় এক একর আয়তনের বোরো ধানের বীজতলার চারা মরে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, বীজতলার বয়স প্রায় এক মাস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতার জের ধরে কেউ আগাছা নাশক স্প্রে করে দিয়েছেন ওই বীজতলায়। এতে আব্দুল মোন্নাফ, ভবেশ চন্দ্র দাস, জিতেন, মিঠুন চন্দ্র, অভিনাশ চন্দ্র, আলমাস হোসেন, কানু দাস, সুভাষ চন্দ্র, মহেশ চন্দ্র, নূর আলমসহ ৩৫ জন কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এভাবে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এসব কৃষককের প্রায় ৮০ বিঘা জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় এক একর এলাকা জুড়ে বিবর্ণ বীজতলা। চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি উঁচু হওয়া চারাগুলো শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। সাধারণত কোন রোগ-বালাই আক্রমণ করলে মাঝে-মধ্যে চারা নষ্ট হয়, একসাথে পুরো এলাকার চারা নষ্ট হয় না। আর সেটিতে বালাই নাশনক স্প্রে করলেই সেরে উঠে। এটি কোন রোগ-বালাইয়ের কারণে নয়, অন্য কোন কারণে নষ্ট হয়েছে। আমি কৃষকদেরকে ১৮ কেজি বোরো ধান বীজ প্রদান করেছি। সেটি দিয়ে চারা তৈরী করে ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া দূর্যোগের আশঙ্কায় কৃষকরা প্রতি বছর অতিরিক্ত বীজতলা তৈরী করেন, এবারো তাই করেছেন। দূর্যোগ না থাকায় ওই অতিরিক্ত চারা ব্যবহার করতে পারবেন তারা।
সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি॥