প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৪৮তম জন্মদিন আজ। দিনটিতে মেয়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মা শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রোকেয়া পদক-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই দোয়া চান। গণভবন থেকে অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, আজ তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন। তিনি জন্মদিনে মেয়েকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন পুতুল অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করে। সে জাতিসংঘ থেকে এই কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কন্যা। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী। ২০০৮ সাল থেকে তিনি শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পুতুলকে ‘হু অ্যাক্সিলেন্স’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে।

মনস্তত্ত্ববিদ সায়মা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিকস এর পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন।

ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্বামীর নাম খন্দকার মাশরুর হোসেন। তার শ্বশুর সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী।