ঝালকাঠি-২ আসনের এমপি আমির হোসেন আমু ও তার মেয়েকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে করা ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন রিজভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এ মামলায় গত ৬ ডিসেম্বর রাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ রাব্বী তার নিজ নামের ফেসবুক আইডি ও মেসেঞ্জার থেকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সম্পর্কে গত ৫ ডিসেম্বর রাতে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু ৬ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠি থানায় শেখ মোহাম্মদ রাব্বীকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা রেকর্ডের কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে শহরের সাধনার মোড় থেকে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে মেসেঞ্জারের সেই স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন রিজভীর বিরুদ্ধে। পুলিশ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযোগের সত্যতা পায়। এজন্য তাকেও মামলার সন্দেহভাজন আসামি করা হয়। তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। বুধবার ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেল ৩টায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, রিজভীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। বিভিন্ন মেসেঞ্জারে স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তাকেও এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।