মীর আনিস/ফরিদপুর সংবাদদাতা: শাহাবুনদ্দীন আহম্মেদ সতেজ একটি নাম। আইনউদ্দীন কলেজ ছাত্র/ছাত্রী সংসদের সাবেক ভিপি, মধুখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। মধুখালী পৌর বিএনপি’র সভাপতি, বারবার কারাবরনকারী একজন ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা। বারবার আঘাত করেও তাকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। দেশের গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দলের জন্য ভুমিকা রেখেছেন এরং রেখে চলেছেন। তৃনমূল থেকে বেড়ে উঠা মার্জিত, সৎ, সততা, বিশ্বস্ত, কর্মী বান্ধব, নেতৃত্বগুণ ও রাজনৈতিক দূরদর্শী সম্পন্ন একজন ব্যক্তি মধুখালী পৌর বিএনপির প্রান ভোমড়া শাহাবুদ্দীন আহম্মেদ সতেজ।
আসন্ন মধুখালী পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। দৈনিক বায়ান্ন’র সাথে আলাপ করেছেন মন খুলে,বলেছেন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে নানা কথা।
আসন্ন পৌর নির্বাচনে দল আমার ত্যাগের মুল্যায়ন করে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমি দলের এই আস্থার প্রতিদান দিবো।
সতেজ বলেন সারা জীবন মানুষের সেবা করে আসছি, ছাত্র জীবনে ছাত্র/ছাত্রীর প্রতিনিধিত্ব করেছি, মধুখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২বারের চেয়ারম্যান হিসাবে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করেছি। মধুখালী পৌর এলাকার জনগনের সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক। জনগনের ভালবাসাই আমার পুজি।
গত মেয়র নির্বাচনে মেয়র পদে জনগন আমাকে ভোট দিয়েছিল, আমার বিজয়কে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। মধুখালী পৌর এলাকার জনগনের কাছে আমার দায়বদ্ধতা আছে।
তিনি বলেন মহামারী করোনা ভাইরাসে লকডাউন চলাকালীন সময়ে সব কিছু যখন স্থবির ও বন্ধ ছিলো তখন আমি পৌর এলাকায় অসহায় মানুষদের আর্থিক ভাবে দরিদ্রদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করেছি।
সতেজ বলেন পৌরসভার ২০টি কার্যাবলী রয়েছে। জনগন যদি আমাকে ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেয় তাহলে এই ২০টি কার্যাবলী আমি অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পরিচালনা করবো।
কার্যাবলীগুলো হলো, ১. পৌরসভা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সার্বিক দায়িত্ত্ব পালন করা। টিকদান কর্মসূচীসহ সরকার কর্তৃক প্রদেয় যে কোনো ধরনের সুবিধা জনগণকে প্রদান করা। ২. ইমারত নির্মাণ কিংবা ভেঙ্গে ফেলাসহ পুকুর খননের বিষয়ে পৌরসভা অনুমোদন প্রদান করা। স্বাস্থ্যকর ইমারত নির্মাণ বা ইমারতকে স্বাস্থ্যকর ভাবে গড়ে তোলার জন্য পৌরসভা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ৩.আবর্জনা অপসারণ, সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা পৌরসভার দায়িত্ব। পৌরসভায় উৎপাদিত আবর্জনার একটি বড় অংশ পৌরসভা সংগ্রহ করে চূড়ান্ত গ্রাউন্ডে ফেলে দেয়া। ৪. পৌর এলাকায় মহিলা ও পুরুষদের পৃথক পৃথক সুযোগ সমৃদ্ধ লেট্টিন নির্মাণ এবং বেরসকারি উদ্যোগে পরিচালনের ব্যবস্থা করা। ৫. জন্ম, মৃত্যু এবং বিবাহ নিবন্ধনের মাধ্যমে পৌরসভা জাতীয় দায়িত্ত্ব পালন করা। ৬. সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে পৌরসভা সব সময় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ৭. পানি উৎপাদন ও পরিশোধন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা। ৮. পানির বেসরকারি উৎস সংরক্ষণে পৌরসভা সবসময় সহযোগিতা প্রদান করা। যে সমস্ত এলাকায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়া সম্ভব হয় না সেখানে হস্তচালিত পানির কলের ব্যবস্থা করা। ৯. শহর এলাকায় পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে প্রতিবছর ড্রেন নির্মাণ করা। নির্মিত ড্রেনগুলির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে ড্রেন পরিস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। প্রতিবছর বর্ষার পূর্বে এ কার্যক্রম বেগবান করা। বর্ষা মৌসুমে তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের কার্যকর ভূমিকা রাখা। ১০. জনসাধারণের স্নান ও ধৌত করার জন্য পুকুরগুলোতে ঘাটলা নির্মাণ করা। ১১. পৌরসভার ভিতরে অবস্থিত পৌরসভার মালিকানাধীন ও সরকারি সকল ধরনের জলাশয়কে ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১২. মৎস্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে পুকুরের উন্নয়ন করা। ১৩. হাট বাজরের উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করা। কাচা বাজার, মাংস বাজার ইত্যাদি মার্কেটের উন্নয়ন এ সুবিধাগুলি প্রদান করা। ১৪. কসাইখানার উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্মতভাবে পশু জবাই করা। ১৫. সড়ক নির্মাণ, সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ এর মাধ্যমে জনসেবা প্রদান করা। ১৬. সড়ক বাতির মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিধান করা। এছাড়া সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ১৭. মৃত ব্যক্তির দাফন বা দাহের জন্য গোরস্থান ও শ্মশানের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা করা। ১৮. বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়ন করা। ১৯. পৌরসভা পরিচালিত প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় এর মাধ্যমে শিক্ষাখাতে বিশেষ ভূমিকা রাখা।
২০. মার্কেটের উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটানো।
সতেজ আরো বলেন, নির্বাচিত হলে সকলের জন্য বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলব, মাদকমুক্ত হবে পৌর এলাকা। চাদাবাজ,ছিনতাইকরীদের দৌরাত্ত্ব থাকবে না। প্রশাসনের সহযোগীতায় পৌর এলাকাকে নিরাপদ করে গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন পৌরসভা হবে সকলের, আমি হবো সেবক। আমি সব সময়ই দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার, পৌরসভা হবে দূর্ণীতিমুক্ত।
তিনি পৌরবাসীর উদ্দ্যেশে বলেন আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধানের শীষে ভোট দিন।
১০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহন।