মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনের বিশেষ সংস্করণের হাতঘড়ি উন্মোচন করা হয়েছে। ঘড়ির ডায়ালে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং স্বাক্ষর। আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে এই বিশেষ সংস্করণের তিন ধরনের হাতঘড়ি উন্মোচন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। হাতঘড়িগুলো বঙ্গবন্ধুর বার্তার নিরবচ্ছিন্নতা এবং তার চিরন্তন প্রাসঙ্গিকতার প্রতিনিধিত্ব করছে।
হাতঘড়ি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের মুক্তিযুদ্ধের অভিন্ন ইতিহাসের কথা স্মরণ করেন, যা ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূল ভিত্তি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দুই দেশের সম্পর্কের আলোক শিখা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর ধারাবাহিকতায় আজ শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদিতে এসেও দীপ্যমান। সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ আঞ্চলিক ইস্যু এবং এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অভিন্ন প্রতিবন্ধতার বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই সরকারপ্রধান কাজ করছেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে গড়ে ওঠা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কৃত্রিম দেয়াল ভেঙে এখন রচিত হয়েছে আস্থা ও সৌহার্দের সেতু।’
বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জাতির পিতা হলেও তিনি ভারতীয় জনগণের কাছে বীর। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসার পথে ভারতীয় জনগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে উষ্ণতা ও ভালোবাসা দেখিয়েছিলেন তেমনিভাবে তারা মুজিববর্ষও উদযাপন করতে চান।
এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদযাপনের সূচনাকালে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বঙ্গবন্ধুকে সাহসী নেতা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন সবার জন্য অনুপ্রেরণা ছিল।’
ভারতের বহুজাতিক টাটা গ্রুপের বিখ্যাত ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘টাইটান’ ভারতীয় হাইকমিশনের জন্য এই বিশেষ সংস্করণের ঘড়িগুলো প্রস্তুত করেছে।