বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে শৌচাগারের পাইপের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় হানিফ খলিফা নামের কারাবন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জেলখানার হাসপাতাল ওয়ার্ডের কারারক্ষী মো. কাওসারকে সাময়িক বরখাস্ত এবং প্রধান কারারক্ষী আনসার মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে হানিফের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে টয়লেটে গিয়ে মশারির দিয়ে দড়ি বানিয়ে পাইপের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন হানিফ খলিফা। রাত ৩টার দিকে হানিফকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিজের প্রতিবন্ধী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে হানিফের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী বরিশাল মহানগর এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন ১ অক্টোবর গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। সেই থেকে জেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে ছিল হানিফ। হানিফ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধুকাঠী গ্রামের আলী খলিফার ছেলে। তিনি বরিশাল নগরীর চহুতপুর এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।