করোনার প্রভাবে ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে যাতায়াত। করোনা নেগিটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে নতুন মেডিকেল ভিসা ও পুরানো বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারত যাতায়াত করছেন। এ ছাড়া ভারত থেকেও ইমপ্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসায় প্রতিদিন যাত্রীরা আসছেন বাংলাদেশে।
তবে এখনো শুরু হয়নি ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। জানা যায়, বেনাপোল থেকে ভারতের বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণে এই পথেই যাত্রীরা বেশি যাতায়াত করে থাকেন।
চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশ ও ভারতে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিরোধ হিসেবে দুই দেশের সরকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারত সরকার গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে একই সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এতে চিকিৎসা আর বাণিজ্যিক ভিসায় যাতায়াতকারীরা বেশি দুর্ভোগে পড়েন।
৫ মাস পর প্রথমে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরার সুযোগ হয়। পরে বাংলাদেশিদের মেডিকেল আর বিজনেস ভিসায় যাতায়াতে সুযোগ দেয় ভারত সরকার। ভারতগামী বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা বলেন, করোনার কারণে টানা ৭ মাস আটকে ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় আবার ভারতে যাচ্ছেন। তারা জানান, মেডিকেল ভিসার মেয়াদ ৩ থেকে ৬ মাস হলেও এ ভিসায় মাত্র একবার ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। এতে কতটুকু প্রয়োজন মিটবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার সুজন সেন জানান, ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতে দুই দেশের যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পরিদর্শক মহাসিন বলেন, ‘আপাতত মেডিকেল স্টুডেন্ট আর বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা যাতায়াত করছেন। ভারতীয়রা আসছেন ইমপ্লোয়মেন্ট ভিসায়। এছাড়া কুটনৈতিক ভিসায়ও যেতে পারবেন যাত্রীরা। মেডিকেল ভিসায় যারা যাচ্ছেন তাদেরকে নতুন ভিসা নিতে হচ্ছে। বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে পুরোনো ভিসা কার্যকর হচ্ছে। তবে সবার ক্ষেত্রে ভ্রমণের আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করানো করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগছে।’ জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার মেডিকেল ভিসায় ভারতে গেছেন ২৮৫ জন বাংলাদেশি। ভারত থেকে এসেছেন ৪৩ জন।