জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী (একনেক) কমিটির সভায় দুই হাজার ৪৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা খরচে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে সরকার দেবে এক হাজার ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮২ কোটি ১৪ লাখ এবং বিদেশি ঋণ ৬০৭ কোটি লাখ টাকা। আজ মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা এই একনেক সভায় অংশ নেন।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তারা জানান, একনেক সভায় দুটি নতুন এবং দুটি প্রকল্পের সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘যমুনা নদীর ডানতীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৫৬০ কোটি সাত লাখ টাকা। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘কক্সবাজার জেলার শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন’ প্রকল্পটি ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা খরচে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়কে একস্তর নিচু দিয়ে উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চারলেন উন্নীতকরণ (ডাঙ্গাবাজার-ইসলামপুর লিংকসহ)’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংশোধনীতে খরচ বেড়েছে ৫৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ৯৩৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এখন খরচ বেড়ে তা হয়েছে এক হাজার ৪৮৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটির সময়ও বেড়েছে দুই বছর। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তা এখন বাড়িয়ে করা হলো ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। বিদ্যুৎ বিভাগের ‘আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে।
প্রকল্পটির এক হাজার ১৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ বেড়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল এক হাজার ৩৫৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এখন এর ব্যয় দাঁড়ালো দুই হাজার ৫০৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটির সময় বেড়েছে দেড় বছর। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়লো।