গাজীপুরে ৫বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে লাশ বালুর নীচে পুঁতে রাখে ধর্ষকরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দুই কিশোরকে সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- যশোরের ঝিকরগাছা থানার কুন্দিপুর রঘুনাথপুর এলাকার মোঃ আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ রাসেল ওরফে রাহুল (১৪) এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার নছিব সিকদার ওরফে নছুন এর ছেলে সবুজ (১৪)।
গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার মনোয়ারের বাড়িতে স্বপরিবারে ভাড়া থাকেন রফিকুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়া থানার থলকুড়ি এলাকায়। রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। গত ৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রফিকুল ইসলামের ৫বছরের শিশু মেয়ে রিয়া মনিকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার কিশোর ছেলে রাসেল ও তার বন্ধু সবুজ ঘরে ডেকে নেয়। সেখানে তারা জোরপূর্বক শিশুটিকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। শিশুটি ধর্ষণের কথা প্রকাশ করার কথা বললে তাকে গলা টিপে হত্যা করে ধর্ষক কিশোররা। পরে শিশুটির লাশ পার্শ্ববর্তী কফিল উদ্দিন ওরফে কালামের নির্মাণাধীন পরিত্যাক্ত বিল্ডিং বালুর নীচে চাপা দিয়ে রাখে।
তিনি জানান, এ ঘটনার প্রায় পৌণে তিন মাস পর গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় বালুর নীচ থেকে অজ্ঞাত ৫বছরের এক শিশুর মাথার খুলি, বড় ছোট চোয়ালের হাড়সহ ১৯টি হাড়, চুল ও চামড়াসহ একটি হাফ প্যান্ট উদ্ধার করে জিএমপি’র কাশিমপুর থানা পুলিশ। স্থানীয়ভাবে অজ্ঞাতনামা শিশুকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হলেও তার পরিচয় উদঘাটিত হয়নি। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পিবিআই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে খুনের এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিবার গভীর রাতে রাসেলকে যশোরের গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে। উদ্ধারকৃত কংকালগুলো শিশু রিয়া মনির বলে জিজ্ঞাসাবাদকালে সে পিবিআইকে জানায়। পরে রাসেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বন্ধু সবুজকে সোমবার সকালে গাজীপুর থেকে আটক করা হয়। দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হলে তারা শিশু রিয়া মনিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে লাশ বালুর নীচে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। এর প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় তিনমাস পর কাশিমপুরে বালুর নীচ থেকে উদ্ধারকৃত শিশুর মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধারের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।