ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর রেল স্টেশন এলাকায় ২টি মালবাহি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘন্টার উদ্ধার কাছ শেষে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে একটি ট্রেনের চালককে। স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত দুইটার দিকে কোটচাঁদপুর ট্রেন স্টেশনে খুলনা থেকে পার্বতীপুর তেলবাহি ট্রেন ও দর্শনা থেকে যশোরের নওয়াপাড়া গামি পাথরকুচি বোঁঝায় ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ টি তেলের ট্যাংকার ও একটি ইঞ্জিন লাইচ্যুত হয়। এরপর থেকেই খুলনা থেকে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদি থেকে একটি রিলিফ ট্রেন এসে সকাল ৬ টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। বেলা ১২ টার দিকে স্টেশনের ২ নং লাইন থেকে ট্যাংকার সরিয়ে ও লাইন মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। রেলের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান পরিবহণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, খুলনা থেকে পার্বতীপুর গামী কেপি ২১ আর ট্রেনের চালক আনিছুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা করা হয়েছে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন। তিনি আরও জানান, ৪ টি তেলের ট্যাংকারের মধ্যে ৩ টি ট্যাংকারের তেল পড়ে গেছে। প্রতিটি ট্যাংকারে ৪২ টন ডিজেল ছিল।
এ ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. শফিকুল আজম খান চঞ্চল, কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকিসহ রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। এদিকে প্রতি কন্টেইনারে (বিটিও) ডিজেল ছিলো ৮৬৬৬ লিটার প্রায়। তাহলে লাইনচ্যুত তিন কন্টেইনারে প্রায় ২৬ হাজার লিটারের মতো ডিজেল হয়। বর্তমান ডিজেলের বাজার মূল্য অনুযায়ী প্রতি লিটারে ৬৫ টাকা ধরলে মোট টাকার পরিমাণ দাড়ায় ১৬ লক্ষ ৯০০০০ হাজার বা প্রায় ১৭ লক্ষ। আর দুই লোকো (ইঞ্জিন) এবং এর বাকি কোচ বা বগি গুলোর ক্ষয়ক্ষতির হিসেব না হয় পরেই করলাম! সাথে লাইনের ক্ষয়ক্ষতি তো আছেই। ২০২০ সালে এসেও যদি রেলের এরকম দূর্ঘটনা দেখতে হয় তাহলে কি বলার থাকে? স্টেশনের ১ নাম্বার লাইনে দুই ট্রেনের ই ঢুকে পড়াকে লোকো মাস্টারের ভুল ধরবো নাকি রেলের কন্ট্রোলিং সিস্টেমকে ? মান্দাতের আমলের যুগেই পড়ে রইলো রেল। রেলস্টেশন মাষ্টার গোলাম মোস্তফা জানান, প্রায় ১৭ লাখ টাকার তেল ক্ষতি হয়েছে। এটা কর্তৃপক্ষ দেখবেন বলে জানান।