এবি কিচেন স্টুডিওতে ২০১৫ সালে রেকর্ড করা হয় ‘কাঁধে ভারি ব্যাগ’ গানটি। প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর সুর-সংগীতে এর মধ্যদিয়ে হাতেখড়ি হয় স্কুল পড়ুয়া প্রেরণার। পাঁচ বছর পর আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ গানটি উন্মুক্ত করা হলো। গানটি কথা লিখেছেন কবির বকুল।
প্রেরণা শিল্পী দম্পতি কবির বকুল ও দিনাত জাহান মুন্নীর বড় মেয়ে। গানটি তৈরির প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে স্মৃতিকাতর হলেন কবির বকুল। তিনি জানান, ২০১৫ সালের কথা। আমার বড় মেয়ে প্রেরণা তখন স্কুলে পড়ে। ও আবার আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের ভীষণ ফ্যান। একদিন আমাকে বললো, বাবা বাচ্চু আংকেলের সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে যাবে? উনার গান আমার খুব ভালো লাগে। আমি বাচ্চু ভাইকে কল দিয়ে বললাম, আপনার সঙ্গে আমার মেয়ে দেখা করতে চায়। তিনি বললেন, ওকে নিয়ে স্টুডিওতে চলে আয়। মেয়েকে নিয়ে চলে গেলাম এবি কিচেনে। প্রেরণা বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে ছবি তুললো।
কবির বকুল আরও জানান, তখন বাচ্চু ভাই জানতে চাইলেন, ও গান করে? আমি বললাম, করে, তবে ইংলিশ নাম্বার বেশি। তিনি শুনতে চাইলেন। প্রেরণা ভয়ে ভয়ে গাইলো ‘রোলিং ইন দ্য ডিপ’। বাচ্চু ভাই একটু শুনেই প্রেরণাকে থামিয়ে দিলেন। এরপর গিটার হাতে নিয়ে বাজাতে বাজাতে বললেন, এবার গা। প্রেরণা পরপর দুটো গান শোনানোর পর বাচ্চু ভাই আমাকে বললেন, ওর জন্য আমি গান করবো। ওর অ্যালবাম করার দায়িত্ব আমার। তুই লিখবি। কালই সন্ধ্যায় বসবো।
‘পরদিন বাচ্চু ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলেন, তুই কখন আসবি। আমি বললাম, সাতটায়। সন্ধ্যায় চলে গেলাম এবি কিচেনে। এক সিটিংয়ে চারটা গানের মুখ সুরসহ তৈরি হলো। আর একটি সম্পূর্ণ গান- “কাঁধে ভারি ব্যাগ”। মিউজিক ট্র্যাক করে প্রেরণাকে গানটি তুলে দিলেন। একদিন পরই প্রেরণা প্রথম মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়ালো। গানটি গাইলো।’ বললেন কবির বকুল।
তিনি আরও জানান, এরপর গানটি আরেকবার ভয়েস নেওয়ার আগ্রহ ছিলো আইয়ুব বাচ্চুর। যা আর হয়ে ওঠেনি। মূলত সেই গানটি আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে পাঁচ বছর পর প্রকাশ হলো অন্তর্জালে। গানটির অডিওর সঙ্গে মিল রেখে অসাধারণ অ্যানিমেশন করেছেন নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব।