একদিনের জন্য সারা দেশে বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ডাটা কানেক্টিভিটি এবং ক্যাবল টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যায়োসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং ক্যাবল অপারেটর অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। আজ শনিবার আয়োজিত এক জুম মিটিংয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ধর্মঘট স্থগিত হওয়ায় আগামীকাল রোববার কেবল টিভি ও ইটারনেট সেবা চালু থাকবে।
আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম, মহাসচিব ইমদাদুল হক এবং কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ এ ঘোষণা দেন। তারা জানান, বিকল্প ব্যবস্থার আগে সেবা সংযোগের তার অপসারণ করা হবে না; এমন আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল আইএসপিএবি এবং কোয়াবের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এই বৈঠক থেকেই ঝুলন্ত তার অপসারণ বিষয়ে স্থায়ী সমাধান আসবে বলে আশা করছেন তারা।
গত সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী সমাধান না করা পর্যন্ত কোনো ঝুলন্ত ক্যাবল অপসারণ না করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানায় আইএসপিএবি ও কোয়াব। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-আইএসপিএপি, কোয়াব, বিটিআরসি, এনটিটিএন এবং সিটি করপোরেশন সমন্বয়ে ‘লাস্ট মেইল ক্যাবল’ স্থাপন করা হয়েছে কি না- তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিটির মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্তের ব্যবস্থা করা; সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সেবার মূল্য নির্ধারণ করা; গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সেবা স্বল্পমূল্যে দেয়ার লক্ষ্যে এনটিটিএনের মূল্য সরকারের মাধ্যমে নির্ধারণ করা এবং গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানে নিশ্চয়তার পক্ষে এনটিটিএনগুলো সার্বিক সক্ষমতা আছে কি-না তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা।
গত ৫ আগস্ট থেকে ইন্টারনেট ও কেবল টিভির তার অপসারণ শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ পর্যন্ত ৪৮ এলাকায় ২৮৫টি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ফাইবার কেবল অপসারণ করা হয়েছে। এতে ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকার তার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি আইএসপিএবি ও কোয়াবের। সংগঠন দুটি ধর্মঘটের ঘোষণা দিলেও ফাইবার অপসারণ থামেনি দক্ষিণ সিটিতে। এ অবস্থায় রোববার থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি ৩ ঘণ্টা বন্ধ করার ঘোষণা দেয় আইএসপিএবি এবং কোয়াব।