নওগাঁয় আত্রাই নদীর পানি এখনো বিপদসীমির ৬৮ সেন্টিমিটার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানি। ফলে আত্রাই নদীর তীরবর্তী উপজেলা আত্রাই মান্দা রানীনগরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। আত্রাই উপজেলার আত্রাই থানা, আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর বন্যার পানি ঢেউ খেলছে পাশাপাশি উপজেলার সকল গ্রাম এখন পানির নিচে।
আত্রাইয়ে বন্যার চরম অবনতি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় আত্রাই নদীর পানি বীপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার বিকেলে বন্যার্তদের মাঝে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ এবং উপর হতে নেমে আসা পানি পূর্বের ভাঙ্গন দিয়ে হুহু করে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করায় উপজেলার লোকজন চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে নিম্নাঞ্চল সহ নদী সংলগ্ন ১৫০ টি গ্রাম ডুবে গেছে।এতে প্রায় দু’লক্ষ মানুষ তাদের যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঐসকল গ্রামের মানুষ তাদের জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন স্কুলে,উঁচু রাস্তায় এবং ঘড়ের খাট বা চকিতে থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রাথমিক অবস্থায় নৌকাযোগে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের এক হাজার বানভাসি মানুষের মাঝে চাল ডাল তেল লবণ মুড়ি চিরা চিনি নুডুলস বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছানাউল ইসলাম। এসময় স্কাউট সদস্য এবং আত্রাই প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছানাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বন্যায় ১৫০ টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। উপজেলাজুড়ে খামারি ও মৎস ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি এবং প্রায় আরাই হাজার হেক্টর ফসলি জমি ডুবে গেছে। জীবন বাঁচাতে ঘড়-বাড়ী ছেড়ে বন্যাদুর্গত মানুষ বিভিন্ন স্কুল এবং উঁচু রাস্তায় গিয়ে উঠেছেন। যাদের বাড়ীছেরে কোথাও যাবার উপায় নাই সে সকল পরিবার ঘড়ের খাটে বা চকিতে অবস্থান করছেন।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।