দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৬৭ জন।এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৯১৩ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭২ জন।শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ৫১ জন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হয়েছে। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৩৬ জন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১২ হাজার ৫৮৭টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ১৭০টি। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯ হাজার ৬৭৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫১ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৮৬ জন।স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৭৩ দশমিক ২৩ জন এবং মারা গেছে ১ দশমিক ৪১ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং সাত জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ তিন হাজার ৮২৯ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন এক হাজার ৮৪ জন।বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন।
বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে দুই জন, বরিশালে একজন, রংপুরে একজন, ময়মনসিংহে চার জন এবং সিলেটে একজন। ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের সবাই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩১২ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৩২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২০২ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬১ হাজার ৬৯৭ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৭২৯ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৭১৮ জন। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন এক হাজার সাত জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ১৫৯ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৫১৪ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ হাজার ৩৫৫ জন।