দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাসায় বিশাল অংকের অর্থ, ডলার, পাউন্ড এবং স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে; এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং অনলাইন মিডিয়ায়। এ নিয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ঘোড়াঘাট থানার ওসি, পুলিশের পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বললে কেউই তা স্বীকার করেননি। তবে তারা জানিয়েছেন, ইউএনও’র বাসায় ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও কাপড়চোপড় তার ভাই শেখ ফরিদউদ্দিনের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।
ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনার ১০ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দিনাজপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহানুর রহমানের উপস্থিতিতে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিমুদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম মামলার বাদী ইউএনও’র ভাই শেখ ফরিদউদ্দিন ইউএনওর সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেন। এসময় বাসভবন থেকে ইউএনও’র ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও কাপড়চোপড় তার ভাই শেখ ফরিদউদ্দিনের কাছে তুলে দেয়া হয়।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিমুদ্দিন এ বিষয়ে জানান, একটি চাবির গোছা উদ্ধারের পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ইউএনও’র ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও কাপড়চোপড় তার ভাইয়ের কাছে তুলে দেয়া হয়। যেহেতু এগুলো মামলার আলামত নয়। তাই এগুলো তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে। ওই সময় আমিসহ সরকারি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক ছিলাম এবং ইউএনও’র বাড়ি থেকে কোনো টাকা উদ্ধার হয়নি।বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সরাসরি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ইউএনওর বাড়ি থেকে কোনো টাকা কিংবা ডলার পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খান ও তার বাবার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ইউএনও ও তার বাবাকে। ঘটনার দিনই রাতে ইউএনও’র ভাই শেখ ফরিদউদ্দিন হত্যা চেষ্টার মামলা করেন।