ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সই করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট বাসভবন হোয়াইট হাউজে স্বাক্ষর হওয়া ওই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে দিতে পারে।
হোয়াইট হাউজের সাউথ লনে ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় পেছনে চার দেশেরই পতাকা ছিল। চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুললতিফ আল জায়ানি এবং ট্রাম্পসহ চার দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষরে আগে শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, আজ আমি এখানে শান্তির জন্য হাত বাড়িয়েছি এবং শান্তির হাত পেয়েছি। ‘ফিলিস্তিন অঞ্চল সংযুক্তির সিদ্ধান্ত স্থগিত করায়’ এসময় তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানান। এই শান্তির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ অর্জিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই তিন দেশ আরবি, হিব্রু ও ইংরেজি ভাষায়- দ্য আব্রাহাম অ্যাকর্ড, দ্য ডিক্লারেশন অব পিস অ্যান্ড দ্য ট্রিটি অব পিস, ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স অ্যান্ড ফুল নরমালাইজেশন-এই তিনটি ডকুমেন্টে সই করে। আরব ও ইহুদিদের মধ্যে নতুন এই রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কারিগর ট্রাম্প এই চুক্তিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন এবং বিশ্বের জন্য অবিশ্বাস্য একটি দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিতে এখানে উপস্থিত হয়েছি। এর আগে গণমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেছিলেন যে, আরও ‘৫ থেকে ৬টি’ আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। এমনকি ফিলিস্তিনিরাও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করবে বলে জানান তিনি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, কোনও ধরনের নির্বুদ্ধিতা এবং সবাইকে গুলি এবং সবাইকে হত্যা না করে এবং মরুভূমিতে রক্ত না ঝরিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বাহরাইনও আমিরাতের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। ফলে মিশর, জর্ডান, আমিরাত ও বাহরাইন-এই চার আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলো।