পদ্মার প্রবল গ্রাসে এবার বিলীনের পথে মাদারীপুরের শিবচর চরাঞ্চলের বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।
২০১২ সালে ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ইউনিয়ন পরিষদের দোতলা ভবনের দুটি পিলার নদীগর্ভে এরইমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। যে কোনো সময় পুরো ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা জানান, বন্যার পরে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে এ চরাঞ্চলে। গত রোববার থেকে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়ে। ইতিমধ্যে ভবনের দুটি পিলার থেকে মাটি সরে গেছে। পরিষদ ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজপত্র।
যেকোন মুহূর্তে পুরো ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে দীর্ঘদিন থেকে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। এদিকে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও কাজীরসুরা বাজারের অর্ধ্ব শতাধিক দোকানপাটসহ অনেক ঘরবাড়ি।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট কাজীরসুরা ২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টারটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া ২৩ জুলাই পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ২৯ জুলাই ৭৭নং কাঁঠালবাড়ি সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারের ৩য় তলা ভবনটি বিলীন হয়।
সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।