লালমনিরহাট জেলা কারাগার বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে যেকোন মুল্যে সাথী ভাইদের নিয়ে যেতে মোবাইলে হুমকি ও চিঠি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় জিডিসহ কারাগারের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কারাগারের মূল ফটকসহ চারদিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার ও জেলা প্রশাসককে একটি উড়ো চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে কারাগার উড়িয়ে দিয়ে সাথী ভাইদের ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
চিঠিটি আমলে নিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। এরই মধ্যে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেল সুপার কিশোর কুমার নাগকে একটি টেলিটক নম্বর থেকে ফোন করে একইভাবে হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় যেকোনো মূল্যে জেলখানা থেকে তাদের সাথী ভাইদের মুক্ত করা হবে। উড়িয়ে দেওয়া হবে কারাগার।
মোবাইল ফোনে এমন কলের পরপরই কারাগারের রাস্তাসহ আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। মোবাইল ফোন ও চিঠিতে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন কারাগার কর্তৃপক্ষ।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, গোপনীয়তার স্বার্থে এ বিষয়ে এখন তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।
লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার কিশোর কুমার নাগ বলেন, জিডি আমাদের নিরাপত্তার একটি অংশ। সারাদেশে জেলখানার নিরাপত্তা সব সময় থাকে। নিরাপত্তার বিষয়গুলো ডিসকাস করা হয় না।
তিনি আরো বলেন, ১৯০ জনের ধারণক্ষমতার এ কারাগারে এখন পর্যন্ত ৪৬৬ জন আসামি ও কয়েদি রয়েছেন। যার মধ্যে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ২০ জন বন্দি রয়েছে এ কারাগারে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু বলেন, হুমকি দিয়ে গত সপ্তাহে আমার কাছে ও জেল সুপারের কাছে একটি করে চিঠি আসে। এরপর জেল সুপারকে মোবাইলে হুমকি দেওয়া হলে জিডি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কারাগারে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।