গাজীপুরে গেম খেলার জন্য স্মার্ট মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের নাম- জিহাদুল ইসলাম ওরফে শাফায়েত (১৩)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানাধীন ভোগড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে জীবনের ছেলে। জিহাদ স্থানীয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।
বাসন থানার এসআই ইব্রাহিম খলিল ও নিহতের বাবাসহ স্বজনরা জানান, বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল জিহাদ। তার বাবা থাই গ্লাসের একটি দোকানে মিস্ত্রির কাজ করেন। এবছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় জিহাদের বড় ভাইকে মোবাইল ফোন কিনে দেন তার বাবা। ভাইকে মোবাইল ফোন দেওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে গেম খেলার জন্য স্মার্ট মোবাইল ফোন কিনে দিতে বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরে জিহাদ। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে (এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়ার আগে) মোবাইল ফোন কিনে দিতে অস্বীকৃতি জানান তার বাবা-মা। শুক্রবার সন্ধ্যার পর পুনঃরায় বায়না ধরলে জিহাদকে বকাঝকা করেন তার মা শীলা আক্তার। এতে মায়ের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে সে। রাত ৯টার দিকে খাবার খাওয়ার জন্য জিহাদকে ডাকাডাকি করতে থাকেন শীলা। কিন্তু ছেলের সাড়া শব্দ না পেয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে ঘরের আড়ের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় জিহাদকে ঝুলতে দেখেন তিনি। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
জিএমপি’র বাসন থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।