আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ফুটবলের সব কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন তরফদার রুহুল আমিন। সভাপতি পদে তার নির্বাচন করার গুঞ্জন ছিল। রুহুল আমিন নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল যে বাফুফে সভাপতি পদে কাজী মো. সালাউদ্দিনের আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকছেন না।
কিন্তু হঠাৎ করে আজ রীতিমতো চমক দিলেন সাবেক ফুটবলার ও জাতীয় দলের কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। আজ মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ দিন ছিল। এদিন সভাপতি পদের মনোনয়নপত্র কিনেছেন তিনি। শেষ দিন মনোনয়নপত্র কিনেছেন বাদল রায়ও। তাই নির্বাচনে আর ফাঁকা মাঠ পাচ্ছেন না টানা তিন বারের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।আগে থেকেই সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী বলা হয় বাদল রায়কে। তবে মানিক স্বতন্ত্র না কোনো প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন তা জানা যায়নি। তবে নির্বাচনী উত্তাপ বেড়ে গেল।
বাফুফের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বাদল রায় ও মানিক তিনজন লড়বেন। অন্যদিকে ফাঁকা মাঠ পাচ্ছেন না বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীও। ভাবা হচ্ছিল এই পদেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না। তবে মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ দিন এ পদের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছেন সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম।তাই এ পদেও এখন নির্ভার হওয়ার সুযোগ থাকছে না আব্দুস সালাম মুর্শেদীর।
সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও লড়াই জমে উঠবে বলে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে কাজী সালাউদ্দিন প্যানেলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাফুফে ভবনে প্রবেশের মুখে নিরাপত্তা কর্মীদের বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন নির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন মুন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছিলেন, সালাউদ্দিনের প্যানেলে নির্বাচন করবেন না। তার জায়গায় পরিবর্তন এসেছে। টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের নুরুল ইসলাম নুরুকে সালাউদ্দিনের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।তফসিল ঘোষণার আগের দিনই প্যানেল চূড়ান্ত করেছিল সালাউদ্দিন-মুর্শেদীরা। আজ মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ দিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কথা বলেছেন। তিনি জানান, ২১ জনের একটি প্যানেল দিয়েছেন তারা।
একটি পরিবর্তন করে প্যানেল চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে পুরো প্যানেল জয়ের প্রত্যাশা। আব্দুস সালাম মুর্শেদী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সম্মিলিত পরিষদ নামে কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে সভাপতি একজন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি একজন, চারজন সহ-সভাপতি ও পনেরো জন সদস্যসহ ২১ জনের একটি পূর্ণ প্যানেল করেছি।সভাপতি পদের জন্য মনোনয়নপত্র ক্রয়ের পর বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায় বলেছেন, ‘আমি বাদল রায় বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে সব সময় ছিলাম, ফুটবলের উন্নতি জন্য আমি কাজ করতে চেষ্টা করেছি সব সময়। ফুটবলের ব্যর্থতার সঙ্গেও ছিলাম।
সত্যকে সত্য বলতে আমি কখনো পিছপা হইনি। নেতৃত্বের কারণে কখনো কখনো আমার কাজ আমি করতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাজকে পূর্ণরূপে সাজাতে এবার আমি বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। আমি ফুটবল ফেডারেশন ও ফুটবলের সঙ্গে জড়িত এবং বাংলাদেশের সব মানুষের দোয়া চাই।’বাফুফের নির্বাচনের জন্য মোট মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৪৯টি।
সভাপতি পদে ৩টি, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ২টি, সহ-সভাপতি পদে ৮টি ও সদস্য পদের ৩৬টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। সহ-সভাপতি পদের মনোনয়নপত্র কিনেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, তাবিথ আউয়াল, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, এসএম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি, মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বাবু, মো. আতাউর রহমান ভুঁইয়া (মানিক) ও ইমরুল হাসান।