দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলছেন, কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা খুব দ্রুত জানা যাবে।ইউএনওর বাসায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যে দুজন দুর্বৃত্তৃতাদের মুখে মুখোশ ছিল এবং সেগুলো দেখে পর্যালোচনা চলছে, ওখানে হাই পাওয়ার্ড টিম কাজ করছে।
পুলিশের চৌকস একটি টিম কাজ করছে। তারা আশাবাদী যে খুব দ্রুত আমাদের জানাতে পারবেন কারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে, আমরা অপেক্ষা করছি।বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয় বলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন। আহত ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে করে ঢাকার আনা হয়েছে। ওয়াহিদার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
আহত ইউএনওর চিকিৎসার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিহা খানমের সব থেকে ভালো চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি, এক্ষেত্রে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল সব থেকে ভালো। যা যা করা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সেটি করছি।ওয়াহিদা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শত্রুতাবশত মনে করলে সে একা আক্রান্ত হত, কিন্তু তার পিতাও আক্রান্ত হয়েছেন।ডাকাতির উদ্দেশ্যে বা এরকম কিছুও হতে পারে। আমরা অপেক্ষা করছি, অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশা করি জটটা খুলবে এবং আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পারিবাহিক শত্রুতা মনে হচ্ছে না, তবে তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমরা জিজ্ঞেস করেছি, কোনোকিছু খোয়া গেছে কিনা, এখনও জানা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে।
ফরহাদ বলেন, বিষয়টি কী হয়েছে এবং এই দুর্বৃত্তরা কারা, সে বিষয়ে এসপি বললেন, একটু সময় পেলে দুর্বৃত্তদের নাম-ঠিকানাসহ সব কিছু বের করতে পারব, আমাদের প্রচেষ্টা আছে। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুত এটা বের করতে পারব।ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা কারা এটা জানতে একটু অপেক্ষা করতে হবে। তারা কি ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল নাকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো কারণে শত্রুতা তৈরি হয়, এ রকম কিছু হয়েছিল?আমি ডিসিকে জিজ্ঞেস করেছি শত্রুতাবশত এরকম কিছু হয়েছিল কিনা? তিনি বলেছেন, এ ধরনের কোনো কিছু ইউএনও তাকে অবহিত করেননি। পারিবাহিক শত্রুতাও মনে হচ্ছে না, তবে তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। পুলিশই এটার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকার নিজেই এটা তদন্ত করবে।মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, এখনও মামলা হয়নি, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।