সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা ও কক্সবাজারকে আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার – এ কথা বললেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক এমপি। শনিবার শেষ বিকেলে সন্ধ্যা নাগাদ কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইতিমধ্যেই পাউবো’র সচিব ও মহাপরিচলকসহ একটি প্রতিনিধি দল নেদারল্যান্ড ভ্রমন করেছেন। সেখানে জনগনের জন্য নদী ও সমুদ্র ভাঙন রোধে যে ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। একইভাবে সেই দেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেঁকসই বেড়িবাঁধসহ সৈকত ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী সড়ক পথে কুয়াকাটায় এসে অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রভাবে বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শণ করেন। এসময় পটুয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব এমপি, পাউরো’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো.হারুন অর রশীদ, পাউবো’র প্রকল্প পরিচালক (সিইআইপি-১) মোহাম্মদ আলী, পাউবো’র পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ড. শহিদুল ইসলাম বিশ^াস, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় ট্যুারিজম ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতি মন্ত্রীর সামনেই মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী ও সমুদ্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট নির্নয় করে ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প তৈরি করে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় পাঠানে হবে এবং সেখানে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই শেষে একনেকে পাঠানো হবে। উপকূলীয় বেরীবাঁধ উন্নয়নে একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই কুয়াকাটা সৈকত ভাঙ্গন রক্ষার কাজ শুরু হবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সৈকতে অস্থায়ীভাবে দেয়া জিও ব্যাগ ও জিও টিউব যতদিন ঠিকমতো ছিল ততদিন সৈকত ভাঙ্গেনি। স্থানীয় মানুষকেও এব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে যাতে এগুলো নষ্ট না হয়।
রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি