আজকের দিনে মিডিয়াকে দূরে রেখে কোন কাজ সম্পন্ন করা যাবে না। ফলে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক এবিএম খোরশেদ আলম।

রোববার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রামেক হাসপাতাল পরিদর্শন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খোরশেদ আলম।

তিনি বলেন, দেশের মিডিয়া এখন অনেক শক্তিশালী মাধ্যম। সাংবাদিকরা সরকারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন তুলে না ধরলে জনগণ জানবে না। আমরা যতই তুলে ধরি না কেন, তা জনগণ বিশ্বাস করবে না। আমি হাসপাতালের পরিচালককে অনুরোধ করবো, আপনি মিডিয়ার সঙ্গে থাকেন। তাদের কাজ করতে সহযোগিতা করেন। আপনাকে অনুরোধ করে গেলাম, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঁচ বছর ধরে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ডিজি খোরশেদ আলম বলেন, এখানে (রামেক হাসপাতাল) পাঁচ বছর ধরে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়না- এই অভিযোগ শুনলাম। এজন্য যদি আমি দায়ী হয়ে থাকি, তাহলে আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে আমি দুঃখিত এবং ক্ষমা চাই।তিনি আরও বলেন, রামেক হাসপাতাল করোনাভাইরাস রোগের চিকিৎসায় ভাল কাজ করছে। ঢাকার অনেক হাসপাতালের চেয়ে এখানকার ব্যবস্থাপনা ভাল। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা এবং অপারেশন আগের চেয়ে একটু কমলেও মান বেশ ভাল হয়েছে।

করোনার টিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খোরশেদ আলম বলেন, করোনার টিকার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী বা স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেবেন। তবে টিকা আবিষ্কার হলে বাংলাদেশ যাতে সাথে সাথে পেতে পারে, সে হোমওয়ার্ক আমরা নিয়মিত করছি। টিকা আবিষ্কার হলে নিশ্চয় আমরাও পাব।বৈঠক ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ফরিদ হোসেন মিয়া, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য, রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান প্রমুখ।