পাবনা-৪, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাবনা-৪ আসনে ভোট হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। অন্য দুটি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর।তবে করোনার প্রকোপ ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন আসন দুটি শূণ্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্ত জানান। তিনি জানান, স্থগিত থাকা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো অক্টোবরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনটি উপনির্বাচনের ভোটের তারিখ নির্ধারিত হলেও তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে শুধু পাবনা-৪ আসনের। বাকী দুটি আসনের তফসিল যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।তফসিল অনুযায়ী, পাবনা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমাদেওয়ার শেষ সসময় ২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ সেপ্টেম্বর। আর ভোট নেওয়া হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। পাবনার এ উপ নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে। সেদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
গত ২ এপ্রিল সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করার কথা থাকলেও মহামারীর কারণে তা সম্ভব হয়নি।রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব জানান, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ ৬ আসনের উপ নির্বাচন ১৭ অক্টোবর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে।৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন এবং ২৮ জুলাই ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া ১৩ জুন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসন এবং ৯ জুলাই সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসন শূন্য হয়।নির্বাচন কমিশন বলছে, আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে এ দুটি উপ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। নির্বাচনের আয়োজন করা হবে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে- সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে কোনো দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে।
এর আগে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনেও প্রথম ৯০ দিনে না পারায় পরের ৯০ দিনে উপ নির্বাচন করেছিল ইসি।গত ১৪ জুলাই ওই দুটি আসনে উপনির্বাচনে যশোর-৬ আসনে ভোট পড়ে ৬৩.৫ শতাংশ। আর বগুড়া-১ আসনে ভোট দিয়েছেন ৪৫.৫ শতাংশ ভোটার।মার্চের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২১ মার্চ তিনটি উপ নির্বাচন হয়। তখন গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল যথাক্রমে ৬০ ও ৬৯ শতাংশ। অবশ্য ঢাকা-১০ আসনে ইভিএমে মাত্র ৫% ভোট পড়ে।