মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর বৈরী আবহাওয়ার মাঝেই খুলছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলো। পর্যটক এবং এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য রয়েছে গাইডলাইন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে আজ থেকে খুলে দেওয়া হবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বিকেল তিনটায় সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে পর্যটন স্পটগুলো।
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে নেয়া হবে ব্যবস্থা। পর্যটন স্পট খুলে দেওয়ায় খুশি এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই। আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত টুরিস্ট পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল। আজ থেকে পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হলেও গত এক সপ্তাহ থেকে কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপে সৃষ্টির কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। অব্যাহত রয়েছে ভারী বর্ষণও। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝেও বেশ কিছু পর্যটক সাগরে হইচই করে আনন্দ উল্লাস করছে। এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে কাজ শুরু করেছে লাইফগার্ড কর্মীরাও।সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে টুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীদের দেখা গেছে আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করতে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট কক্সবাজার জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মতে আজ থেকে সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ শিল্পের সঙ্গে বিভিন্নভাবে দুই লাখ লোক জড়িত। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আলোকে তাদের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে পর্যটন শিল্প আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটনশিল্প খুলতে হবে। ইতিমধ্যে সবার জন্য গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। আগত পর্যটকসহ সবাইকে এই গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
বিকেল তিনটায় সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান রয়েছে।সেখানে জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া ঘোষণা দেবে। এরপর থেকে উন্মুক্ত হয়ে যাবে সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ করে জেলা প্রশাসন।