অর্থ পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার ওরফে লেবিকে (৬১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে শহরের চরকমলাপুর এলাকা থেকে তাকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নাজমুল হাসানকে মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিআইডি এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরবর্তী সময়ে জেলা কারাগার থেকে তাদের জিম্মায় নেবে।’

জানা গেছে, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

পরে ১৯ জুলাই ভোরে সিআইডি বরকত ও রুবেলকে ফরিদপুর জেলখানা থেকে তাদের জিম্মায় নেয়। এরপর তাদের ঢাকার মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রথম দফায় দুই দিন রিমান্ড শেষে সিআইডি ২১ জুলাই পুনরায় তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে রুবেল ও বরকত মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘রুবেল ও বরকত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যাদের আশ্রয়–প্রশ্রয়ে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের সবার নাম উল্লেখ করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালতের নির্দেশে বরকত ও রুবেলকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ ওই মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।