দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৮ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ১১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৭২ জন। দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬১ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৭০টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৬১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ১৭৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৮ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব দুইজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন এবং সত্তরোর্ধ্ব চারজন রয়েছেন।
এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সারাবিশ্বে এ ভাইরাসে মৃত্যু ৬ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস।
আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপকে করোনার প্রভাব কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানেও আবার রোগটির পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থতার হার দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দেয়নি মৃত্যুহার। প্রাণহানিও স্থিতিশীল রয়েছে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার মানুষের।করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু ব্রাজিলে। সেখানে ২৬ লাখ ১০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত এবং মারা গেছে ৯১ হাজার ২৬৩ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।