দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বুধবার (২৯ জুলাই) জানিয়েছে, বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনগুলো থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে এ পরিসংখ্যান দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে একজন, সুনামগঞ্জে তিনজন, সিলেটে একজন, কুড়িগ্রামে নয়জন, টাঙ্গাইলে চারজন, মানিকগঞ্জে দুইজন, মুন্সীগঞ্জে একজন, গাইবান্ধায় একজন, নওগাঁয় দুইজন এবং সিরাজগঞ্জে দুইজন মারা গেছেন।
মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫৪টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ৯১৭টি। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ৮৩৪টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৮ জন। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৫৯০টি। এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৮৮ হাজার ২৯৪ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৮৫৮টি। বন্যাকবলিত জেলাগুলো এ পর্যন্ত মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে ৯০১টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩৮৫টি।
৩১টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যন্ত সাত হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টাকা। শিশুখাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮২ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। গোখাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ ৭৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার এবং বিতরণ করা হয়েছে ৯০ হাজার ৮১২ প্যাকেট।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরনির্মাণের জন্য ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩০০ বান্ডিল এবং বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নয় লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।