মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় বান্দরখোলা ইউনিয়নে নুরুদ্দিন মাদবরেরকান্দি এলাকায় এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবন পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েগেছে। নদ-নদীর পানি বেড়ে এখনও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নদী ভাঙনে বাড়িঘর স্থাপনা নদীতে বিলীন হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। লাখ লাখ পানিবন্দী মানুষের মধ্যে এখন কোন রকমে আশ্রয় জুটলেও খাবার বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ সংকট রয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ সরবরাহ করা হলে তা অপ্রতুল। এমননি অভিযোগ উঠছে জেলার বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মুখে। কোথাও কোথাও মানুষ চরম দুর্ভোগ ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শিবচরের পদ্মায় পানি স্থিতিশীল রয়েছে আর আড়িয়াল খাঁ নদে ৬ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতে অব্যাহত থেকে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ৭ ইউনিয়নে। পদ্মা তীরবর্তী উপজেলার বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ি ও চরজানাজাতে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দরখোলা ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভবনটির বৃহৎ অংশ বিলীন হয়। গত বুধবার গভীর রাত থেকে স্কুলটির ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন,কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ইতোমধ্যেই শতাধিক পরিবার গবাদি পশু, মালামাল অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আড়িয়াল খাঁ তীরবর্তী সন্ন্যাসীরচর, শিরুয়াইল, নিলখী ও বহেরাতলা দক্ষিণেও নদী ভাঙন দেখা দিয়ে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত নদীতে বিলীন হয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি। এসব এলাকায় খোলা ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরীর নির্দেশনায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চিফ হুইপের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে খাবার সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।