কলাপাড়ায় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের ৭ টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের সুবিধা হতে বঞ্চিত রয়েছে। খুটি বসানো হলেও সংযোগ না দেয়ায় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না এ পরিবারগুলো। সিস্টেম জটিলতায় হয়রানির স্বীকার ভুক্তভোগীরা প্রতিকারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের ২১০ টি পরিবারকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়ার জন্য ২০১৮ সালের শেষদিকে বিদ্যুতের খাম্বা বসানো হয়। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়। কিন্তু বিদ্যুতের ৪ টি খাম্বায় সংযোগ না দেয়ায় স্থানীয় সুলতান খান, নেছার শরীফ, শহিদুল ইসলাম, ইসমাইল ও মনিরুল ইসলামের পরিবারসহ মোট ৭ টি পরিবার চরম ভোগান্তিতে পরে। প্রত্যেকের ঘরে বিদ্যুতের জন্য ওয়ারিং করানো হলেও বিদ্যুৎ সংযোগের এক বছর কেটে গেলেও তাদের ভাগ্যে এখনও বিদ্যুৎ পৌছায়নি। এ নিয়ে কলাপাড়া ও পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়ঁঝাপ করেও কোন সুফল পায়নি ভূক্তোভুগী এ পরিবারগুলো।
ভূক্তোভুগী রফেজ ফকির বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য যা যা করনীয় তার সবই আমরা করেছি। গ্রামের সকল বাড়িতে লাইন সংযোগ দিলেও আমাদের এ বাড়িগুলোতে পরে সংযোগ দিবে বলে ঠিকাদার চলে যায়। এরপরে আমরা যতবার যোগাযোগ করেছি দেই, দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে। সোবাহান শরীফ নামের আরেক ভূক্তোভূগী জানান, প্লান অনুযায়ী খাম্বা না বসিয়ে আমার বাড়ির দরজায় একটি ৩৫ ফুটের খাম্বা বসানো হয়। এতে আমার বাড়ির অনেকগুলো গাছের সমস্যা হয়। বিষয়টি তুলে ধরলে ঠিকাদার কাজটি পরে করবে বলে জানায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোন সঠিক সমাধানসহ বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম না। আমরা যাতে দ্রুত সংযোগ পেতে পারি সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এবিষয়ে জানার জন্য ঠিকাদার সাইফুল মৃধার মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কলাপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো: শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতের খাম্বায় লাইন টানা না হলে বিষয়টি আমার এখতিয়ারে পরে না। লাইন সংযোগ দেয়ার বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী বিভাগ করে থাকে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হলাম। ওই পরিবারগুলো যাতে বিদ্যুৎ পায় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি