স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আসাদুল ইসলাম এর নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চুক্তি করেছিল। বিষয়টি মাত্রই জেনেছে মন্ত্রণালয়। বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানালেন স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান। করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। র্যাব জানায়, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্টের মামলাসহ ৫৯টি মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার লবঙ্গবতি নদীর কোমরপুর ব্রিজের পাশের একটি ড্রেনের ভেতর বোরকা পরে শুয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। অপরদিকে রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারির জেরে পাওয়া শোকজের জবাব দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজদ। বুধবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান একথা জানিয়েছেন।
আগের স্বাস্থ্য সচিবের মৌখিক নির্দেশেই রিজেন্ট হাসপাতারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলে জবাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে, রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে সেখানে যথাযথ ব্যাখ্যা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যসচিব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনা ডেডিকেটেড বিষয়ে চুক্তি করা হয়- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালককে (ডিজি) শোকজ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শারমিন আকতার জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে শোকজ করা হয়। এতে ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ বলতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কী বোঝাতে চেয়েছেন সে বিষয়ে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তি করার শর্তগুলো প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে কী বোঝানো হয়েছে- এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রদান করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, যে কোনো হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির আগে সেটি সরেজমিন পরিদর্শন, হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি, জনবল ও ল্যাব ফ্যাসিলিটি বিশ্লেষণ করে বিবেচিত হলেই চুক্তি করার সুযোগ রয়েছে। তা না করেই চুক্তি করা হয়েছে।