নওগাঁর রাণীনগর জোনাল অফিসের লাইন টেকনিশিয়ান এস এম সেলিম আহমেদ গ্রাহকের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা, সোমবার দুপুরে অফিস নির্ধারিত কাজের উদ্দেশ্যে সেলিমসহ একজন লাইনম্যানসহ মিরাটের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে যান। বিকেলে তারা অফিস অর্ডার মোতাবেক মিরাট ইউনিয়নের চরকানাই গ্রামে আবুল কালামের বাড়ির ভাঙ্গা মিটারটি পরিবর্তন করতে গেলে মৃত আফজালের স্ত্রী ভাঙ্গা মিটারটি খুলতে বাধা দেয়। এরপর মিটারটি খুলে ফেললে সেটা কেন খোলা হল এই জন্য নতুন মিটারটি নিয়ে বাড়ির ভিতরে চলে যায়। একই সময় সেখানে উপস্থিত থাকা মৃত আফজালের আরেক ছেলে একাধিক মামলার আসামী বিদ্যুৎ হোসেন সেলিমের কাছ থেকে ভাঙ্গা মিটারটি ফেরত নেয়ার জন্য পিরাপিরি শুরু করে এবং সেখানে থাকা দুজন লাইনম্যান কে গালিগালাজ করতে থাকে এবং ভাঙ্গা মিটারটি ফেরত চায় অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেলিমকে পেছন থেকে বিদ্যুৎ প্রথমে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আঘাত পেয়ে সেলিম সেখান থেকে ভাঙ্গা মিটারটি নিয়ে চলে আসার সময় বাড়ির ভিতর থেকে ধারালো হাসিয়া নিয়ে দৌড়ে এসে বিদ্যুত লাইন টেকনিশিয়ান সেলিমের ডান চোখের উপর কোপ দেয় এবং সেখানে থাকা অন্য লাইনম্যানকেও হাসিয়া নিয়ে তাড়া করে। আহত সেলিম কোন রকম দৌড়ে সেখান থেকে দূরে চলে আসে। পরে তাকে উদ্ধার করে সিএনজি যোগে প্রথমে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তার অবস্থা ভাল নয় দেখে সাথে সাথে নওগাঁ সদর হাসপালে স্থানান্তর করেন করেন। নওগাঁ সদর হাসপাতালের ডাক্তার অবস্থা গুরুতর দেখে সাথে সাথে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে সেলিম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ জনিত কারনে তাহার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন।
রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম সাইদি সবুজ খাঁন বলেন এ ঘটনায় বিদ্যুতকে প্রধান আসামী ও আরো কয়েকজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত বিদ্যুতকে আটক করে দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি দাবী করছি। রানীনগর থানাল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ স্পটে গিয়ে আসামীকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহক রেখেছে। আসামীরা পলাতক থাকায় এখনোও কাউকে আটক সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান আসামী বিদ্যুৎ একজন মাদক সেবক এবং মাদক ব্যবসায়ী। মাদক নিয়ে আসামীর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে মাদক মামলায় আসামী বিদ্যুৎ একাধিক বার জেল হাজতে গিয়েছে।