করোনা টেস্ট জালিয়াতির অন্যতম হোতা ও প্রতারক সংস্থা জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার খুটির জোরের পরিচয় বেরিয়ে এসেছে। সরকার সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রভাবশালী নেতা ডা. কামরুল হাসান মিলনই ছিলেন সাবরিনার সব দাপটের নেপথ্যে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তার মুখের কথাই সেখানে আইন। তার পদবী ‘ইউনিট প্রধান’ হলেওহাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারির বিভাগীয় প্রধানের কক্ষটি দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন ‘ইউনিট প্রধান’ কামরুল হাসান মিলন। নিজের নামের পাশেও লিখে রেখেছেন বিভাগীয় প্রধান।
অভিযোগ রয়েছে, মিলনের ছত্রছায়াতেই অনিয়মের চূড়ায় উঠেছিলেন সাবরিনা। সাবরিনা দিনের পর দিন কাজ না করেই নিতেন বেতন। ডা. মিলনের সুনজরে থাকায় অনুপস্থিত থাকার পরও নাম উঠে যেত হাজিরা খাতায়। তাদের অনিয়মে অতিষ্ঠ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীর কানেওে পৌছে যায় সেই খবর, সাবরিনা-মিলনের ঘনিষ্ঠতায় চটে গিয়েছিলে। এ নিয়ে হাসপাতালের ভেতরেই মিলনের সঙ্গে বিবাদেও জড়ায় জেকেজি কর্নধার আরিফ। এ ঘটনায় জিডিও হয় থানায়। বিষয়টি অবশ্য স্বীকার করেননি সাবরিনা। তিনি বলেন, হাসপাতালে তো নিয়মনীতি আছে। সেখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেলে আমার কারণ কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মামলাই করত।
যোগাযোগ করা হলে ডা. কামরুল হাসান মিলন বলেন, আমাদের এখানে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে হলে আগে পরিচালক সাহেবের অনুমতি নিতে হয়।