যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপ-নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন বিধি অনুযায়ী রোববার (১২জুলাই) রাত ১২টা থেকে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানালেন রিটানিং অফিসার ও যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবীর।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, যশোর-৬ আসনে একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ১২২জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৮৯৬ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯। এসব ভোট কেন্দ্রে ৭৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৭৪৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
সূত্রে জানা যায়, এ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ এবং জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
রিটানিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবীর আরো জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রগুলোতে এবং ভ্রাম্যমাণভাবে বিপূলসংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনী এলাকায় দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ছয় পাল্টুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ২০টি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ৬টি টিম নির্বাচনে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে পুলিশ ও আনসার ভিডিপি সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
জানা যায়, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক মারা গেলে পরবর্তীতে আসনটি শূণ্য ঘোষণার পর উপ-নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৯মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও তার এক সপ্তাহ আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।