মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ও চরপাড়ার ভাড়ানির খালের উপর নির্মিত বহু পুরোনো কাঠের পুলটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের ধাক্কায় সোমবার বিকেলে ভেঙ্গে পড়ে যায়। এই কাঠের পুল দিয়ে ডালবুগঞ্জ,মিঠাগঞ্জ ও মহিপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০হাজার মানুষ চলাচল করে। কাঠের পুলটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এ পথে চলাচলকারী ৩ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কাঠের পুল সংলগ্ন রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই কাঠের পুল দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। কাঠের পুল ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ঝুঁকি নিয়ে ছোট্র ডিঙি নৌকায় এপার-ওপার পার হচ্ছে কোমলমতি শিশু, নারী, বয়োবৃদ্ধসহ হাজারো মানুষ। স্থানীয়দের দাবী ভেঙ্গে যাওয়া কাঠের পুলটি অপসারন করে এখানে একটি স্থায়ী গার্ডার ব্রীজ নির্মানের।
ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নেবর স্থায়ী বাসীন্দা মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, সোমবার বিকেলে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের ধাক্কায় ব্রীজটি দুমরে-মুচড়ে পড়ে যায়। এমনভাবে ভেঙ্গে যায় যা সংস্কার করা সম্ভব নয়। এই কাঠের পুল দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসা করে। ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। চরম দূর্ভোগে তিন ইউনিয়নের মানুষ। ভাড়ানির খালের উপর স্থায়ী ভাবে একটি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা খুবই জরুরী। তাই সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সূ-দৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।
ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সিকদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। রসুলপুর সরকারী পাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র /ছাত্রী পারাপার হয় এই কাঠের পুল দিয়ে। এছাড়া ডালবুগঞ্জ ও মিঠাগঞ্জ ও মহিপুর এ তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার জনগণ আসা যাওয়া করে। তাই জরুরী ভিত্তিতে এখানে একটি গার্ডার ব্রীজ প্রয়োজন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি ওখানে এলজিইডি অথবা পি আই অফিসের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ব্রীজের ব্যাবস্থা করা হবে।
রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি