দেশে একদিনে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ২০১ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩ হাজার ৫২৪ জন। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮টি পরীক্ষাগার থেকে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ২০১টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ২৪৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৩৬০টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ৩ হাজার ২০১ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৮ জন। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।’
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৫২৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৭৬ হাজার ১৪৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৪৪ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ২ হাজার ৯৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। মৃত্যু বিশ্লেষণে পুরুষ ৩৩ জন এবং নারী ১১ জন।’
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন পুরুষ ১ হাজার ৬৫৭ জন এবং নারী ৪৩৯ জন। শতাংশ বিবেচনায় পুরুষ ৭৯ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।’
বয়স বিশ্লেষণে করে বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘২১ থেকে ৩০ বছর ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ৩১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৬ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছে।’
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩৫ জন এবং বাসায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।