বুড়িগঙ্গা নদীতে এক লঞ্চের আঘাতে আরেক লঞ্চ ডুবি ৩২ জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে আকাশ-সড়ক- রেল ও নৌপথ নিরাপদ করার আন্দোলনে নিবেদিত সেভ দ্য রোড। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নৌ মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণে নির্মম মৃত্যুর মুখোমুখি হলো এতগুলো মানুষ। এখানকার প্রতিমন্ত্রী নৌমন্ত্রণালয়ে আসার পর থেকে শুরু হয়েছে চরম অব্যবস্থাপনা-নৈরাজ্য। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে নৌপথ ও নৌবাহনগুলোকে যথাযথভাবে পরিকল্পনায় আওতায় না আনা হয়; আরো অনেক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও রয়েছে।
সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে আরো বলেন, নির্মমভাবে এই মৃত্যুর মুখোমুখি সকলের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক মন্ত্রণালয়ে আরো দক্ষ ব্যক্তিকে সচিব এবং নৌ মন্ত্রণালয়ে আরো অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ারও দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ মে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই ৪ প্রস্তাব দেয়া হয়- ১. সরকারিভাবে স্যানিটাইজার ও পরিচ্ছন্নতা তদারকির জন্য সেনা বাহিনীর একটি বিশেষ টিমকে দায়িত্ব দেয়া ২. কোনভাবেই যেন ভাড়া বৃদ্ধি না হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ না হয়; সেই লক্ষ্যে অবশ্যই স্টপেজ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা। ৩. সেভ দ্য রোড-এর সারাদেশে ৪৭ জেলা কমিটির ৪৭ জন ও কেন্দ্রীয় কমিটির কমপক্ষে ২০ জনকে যোগাযোগ সেক্টরের জেলা ও কেন্দ্রীয় সকল পদক্ষেপে যুক্ত রাখা এবং ৪. সর্ববকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার সাথে সাথে কঠোরভাবে বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য দুর্নীতি-ঘুষ বন্ধে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হোক।