কলাপাড়ায় পযর্টনকেন্দ্র কুয়াকাটার পার্শ্ববর্তী লতাচাপলি ইউনিয়নের কুয়াকাটা খালের ওপর নির্মিত আয়রন সেতুটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে ৭ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষসহ ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, জরুরি চিকিৎসা ও ক্ষেতের উৎপাদিত ফসল নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার সাধারন জনগন। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা খালের ওপরে নির্মিত আয়রন সেতুটি তৈরি করেছেন মুলত খাজুড়া আবাসনের ৮০ টি পরিবার ও ফাশিপাড়া, নয়াপাড়া, মোথাউপাড়া, মেলাপাড়া, শরীফপুর ও বাহাসকান্দা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার লোকের যাতায়তের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে এ সেতুটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিদিন আয়রন সেতুটি দিয়ে ওই গ্রামের এক হাজার লোক মহিপুর ও কুয়াকাটা সহ উপজেলা সদরে যাতায়ত করে থাকে। গত প্রায় ৫ বছর আগে সেতুটি খারাপ অবস্থায় পরিণত হয় যা ধীরে ধীরে এখন পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। খালে লোনা পানি আসা-যাওয়ায় লোহার ভিমে মরিচা পড়ার কারনে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেতুটি দুর্বল হয়ে পরেছে বলে জানা যায়। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে। আয়রন সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শতশত ছাত্র-ছাত্রী যাতায়ত করে খুব ঝুঁকি নিয়ে । নভেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারনে বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয় চালু হলে ছেলে-মেয়েরা কিভাবে আয়রন সেতুটি দিয়ে যাতায়ত করবে তা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ নেই। অভিভাবকদের মতে, বড় মানুষরাই যেখানে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে সেখানে বাচ্চারা কিভাবে এ সেতুটি দিয়ে যাতায়ত করবে তা বোধগম্য নয়। তাদের মতে, খুব শিঘ্রই আয়রন সেতুটি সংষ্কার না হলে যে কোন সময়ে এখানে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
খাজুরা আবাসনের সভাপতি আছিয়া বেগম ও সাধারন সম্পাদক সুধির চন্দ্র মিস্ত্রী জানান,আয়রন সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক যাতায়ত করে। বর্তমানে সেতুটি যে অবস্থা হয়েছে তাতে যাতায়ত করাই এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে। সেতুটি দ্রুত সংষ্কার না হলে একটি বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন।
লতাচাপলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, কুয়াকাটা খালের ওপর আয়রন সেতুটি সহ আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সেতু অত্যান্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এ বছরের শেষনাগাদ নতুন ব্রীজের বরাদ্ধ আসতে পারে বলে তিনি আশ্বাস দেন এবং ব্রীজের নতুন বরাদ্ধ আসার আগ পর্যন্ত মানুষের চলাচলের জন্য বর্তমান সেতুর অদুরে একটি মজবুত সাঁকো করে দিবেন বলেও তিনি জানান।
রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি