গাজীপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে মোবাইল ফেনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শুক্রবার এক যুবককে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে অপর ঘটনায় এক নারীকে তার স্বামী পুতা দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। পুলিশ নিহত ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
জিএমপি’র পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক ভুইয়া ও স্বজনরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবুল কাশেম জনি (২৭)কে শুক্রবার ভোররাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। সকালে এলাকাবাসী স্থানীয় আব্দুস সালামের মুরগির খামারের সামনে ধানক্ষেতের পাশে জনির রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতের মাথার পেছন দিকের ডান পাশে, ডান চোখে ও ডান হাতের কুনুইয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, জনি এলাকায় মাদক ব্যবসা ও সেবন করতো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক ব্যবসার পূর্ব বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হাতুড়ি বা লোহার রড দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে।
এদিকে অপর ঘটনায় মহানগরের কাশিমপুরে বৃহষ্পতিবার রাতে এক গৃহকর্মীকে তার স্বামী পুতা দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। এঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের নাম ফিরোজা খাতুন (৪৫)। সে ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার বালাকি নয়াপড়া এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে সুরুজ মিয়ার স্ত্রী।
জিএমপি’র কাশিমপুর থানার ওসি আকবর আলী খান জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুরের রওশন মার্কেট এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে তৃতীয় স্ত্রী ফিরোজাকে নিয়ে সুরুজ মিয়া বসবাস করতেন। সুরুজ মিয়া এলাকায় দিনমজুর এবং ফিরোজা বিভিন্ন বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বৃহষ্পতিবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সুরুজ শীল পাটার পূঁতা দিয়ে ফিরোজার মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফিরোজা মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং সুরুজকে আটক করে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।