নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৪ মাসের দুধের শিশু মিয়াদ ফিরে পেয়েছে তার মায়ের কোল।শিশুটির পিতা শিশুটিকে নিজের কাছে রেখে তার মাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিলে মঙ্গলবার(১৬জুন) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ডিমলা থানা পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফুটফুটে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে,গত দেড় বছর আগে উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সোনামনির ডাঙ্গা নিজ পাড়া গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে রাহিদুল ইসলামের(২৮)সাথে ডিমলা সদর ইউনিয়নের সরদারহাট গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে মৌসুমি(১৯)এর বিয়ে হয়।বিয়ের পর গত চারমাস আগে তাদের সংসার আলোকিত করে ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
হঠাৎ গত সোমবার(১৫ জুন)দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী রাহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ৪ মাসের দুধের শিশু মিয়াদকে নিজের কাছে রেখে দিয়ে স্ত্রী মৌসুমি বেগমকে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
খবর পেয়ে ঘটনার পর মৌসুমির পরিবার তাকে উদ্ধার করে ডিমলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।মঙ্গলবার(১৬ জুন)সন্ধ্যায় শিশুটি উদ্ধারের জন্য ওই গৃহবধু ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)জয়ব্রত পালের নির্দেশে ডিমলা থানার এসআই উজ্জল শাহ,এএসআই জহুরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয়ফোর্স শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে তুলে দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত)সোহেল রানা বলেন,ঘটনা জানার পর সার্কেল স্যারের নির্দেশে ৪ মাসের দুগ্ধপানের শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি॥