করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি এখন পর্যন্ত মোটামুটি কার্যকর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় একটি প্লাজমা সেল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন।
সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন থেকে একটা ডাটাবেজ তৈরি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত কারো প্লাজমা থেরাপির দরকার হলে ঐ ডাটাবেজ ঘেটে প্রয়োজনীয় রক্তের গ্রুপের লোককে ট্রেসিং করে খুব সহজেই আমরা এই কাজটি করতে পারি।
যে তথ্য দিতে হবে-
১. করোনাক্রান্ত রোগীর নাম
২. ঠিকানা
৩. ফোন নম্বর
৪. রক্তের গ্রুপ
৫. কত তারিখে করোনা পজেটিভ হলেন
৬. যদি নেগেটিভ হয়ে থাকেন, তাহলে কত তারিখে করোনা নেগেটিভ হলেন।
৭. করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর ১৪ দিন অথবা করোনা পজেটিভ হওয়ার পর ২৮ দিন অতিবাহিত হয়েছে কি না।
সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মোস্তফা মজুমদার বলেন, ‘প্লাজমায় অনেক ধরনের অ্যান্টিবডি থাকে। যখন কেউ কোনো রোগে আক্রান্ত হন, তখন সেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের অ্যান্টিবডি প্রোটিন তৈরি হয়। ওই প্রোটিন জীবাণুর চারপাশে এক ধরনের আবরণ তৈরি করে সেটাকে অকেজো করে ফেলে। এভাবেই অ্যান্টিবডি কাজ করে।’ প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে একজনের শরীরের কার্যকর অ্যান্টিবডি অন্যদের শরীরের স্থানান্তর করা হবে।
একজন করোনা নেগেটিভ ব্যক্তি ১৪ দিন পর এবং যে ব্যক্তি নেগেটিভ হয়েছেন কি না পরীক্ষা করতে পারেননি, তিনি ২৮ দিন পর প্লাজমা দিতে পারেন। একজন ব্যক্তির প্লাজমা থেকে অন্তত তিনজন করোনা রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া যায়। তাই এখনি আপনার পরিচিত কিংবা আশেপাশের কেউ এমন থাকলে দ্রুত তথ্য দিন। জীবন বাঁচানোর এ যুদ্ধে আপনিও অংশীদার হোন।
জরুরী প্রয়োজনে: ০১৭১১-৯৯৩৬৫৫, ০১৭১১-৯২৪৬৪৫ , ০১৫১৮-৪২৫০৭৩, ০১৮৫৯-২২০৮৩৪, ০১৭১৭-৮৯৫৫৭৪, ০১৮৫৩-৩১৩৩৮৩, ০১৭২৩- ৫১০৫০৪