সারা বিশ্বে মহামারি রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে গত বছরের ডিসেম্বরে সর্ব প্রথম মানুষ জানতে পারে। তবে ২০১৯ সালের আগস্টের শেষের দিক থেকেই উহানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

বিভিন্ন স্যাটেলাইট ইমেজ ও ইন্টারনেটে তথ্য সার্চের প্রবণতা বিশ্লেষণ করে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা এ দাবি করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপার হরফে প্রকাশ করার আগেই তা হার্ভার্ড-এর ড্যাশ সার্ভারে পোস্ট করা হয়েছে। বোস্টন শিশু হাসপাতালের প্রধান উদ্ভাবনী কর্মকর্তা জন ব্রাউনস্টেইন নতুন এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মের শেষের দিক থেকে উহানের হাসপাতালগুলোর পার্কিং লটগুলোতে গাড়ির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছিল। এ সময় বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি রোগী দেখা গেছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ছয়টি হাসপাতালের মধ্যে পাঁচটিতেই দৈনিক রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সর্বোচ্চ ছিল।

এ ছাড়া সে সময়ে চীনের বাইদু সার্চ ইঞ্জিনে সংক্রামক রোগের কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। ওই সময়ে ইন্টারনেটে বাইদু সার্চ কোয়েরিজ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। তারা দেখেছেন ‘ডায়রিয়া’ ও ‘কাশি’ দিয়ে বেশি সার্চ দেওয়া হয়েছিল।

ব্রাউনস্টেইন ও তার দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গাড়ির সংখ্যা কিংবা সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সার্চ করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সরাসরি নতুন ভাইরাসের সম্পর্ক আছে বলে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে হুয়ানান সিফুড মার্কেটে ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই ভাইরাসটির অস্তিত্ব ছিল বলে বিভিন্ন গবেষণায় যে দাবি করা হয়েছে, তাকে সমর্থন দেয় আমাদের পাওয়া উপাত্ত। এ গবেষণার ফল সেসব পূর্বানুমানকে জোরালো করে যে দক্ষিণাঞ্চলীয় চীনে প্রাকৃতিকভাবে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে।’