আকস্মিক পানি বৃদ্ধি ফলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে দুই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসময় নিজের বসতঘর বাচাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে আবু সাইদ (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বাধের পাশেই ভুমিদস্যুর বালু উত্তোলন করায় বন্যার আগেই বাঁধটি ধসে গিয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার দাবি।
ঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে জেলা সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর গোকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কলেজ ছাত্র ঐ গ্রামের দিনমজুর দুলু মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার একটি কলেজের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা স্বপন জানান, বাধের পাশেই তিস্তা নদী থেকে অবৈধ ও অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় সেই সাথে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর গোকুন্ডার বাম তীর বাধটি মঙ্গলবার সকালে ধসে গিয়ে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসময় প্রবল পানির চাপে ১১টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। এসময় নিজের বসতঘর রক্ষা করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ওই এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে কলেজ ছাত্র আবু সাইদ (২২) বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মহিবুল হক নদী ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভাঙ্গনরোধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে। পাউবোর এই কর্মকর্তা আরো জানান, বাধের পাশেই ভুমিদস্যুর বালু উত্তোলন করায় বন্যার আগেই বাঁধটি ধসে গিয়েছে। বালু উত্তোলনের বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের কাউনিয়া, গংগাচড়া, পীরগাছা লালমনিরহাটের, সদর, আদিতমারীসহ বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনের খবর পাওয়া গেছে।