গত দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকামুখী মানুষের ঢল থাকলেও এবার দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যাওয়া মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটে। শুক্রবার (১৫ মে)সকাল থেকেই এই নৌরুট দিয়ে শত শত যাত্রী পারাপার হচ্ছেন। সাথে বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গগামী ছোট গাড়ির চাপও। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শিমুলিয়া ঘাট থেকে চন্দ্রের বাড়ির কাছ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটারের ছোট ছোট গাড়ি লাইন । শত শত লোক এভাবে ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হওয়ায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কাই থেকে গেলো।
এছাড়া যারা দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে আসছে তারাও পড়েছে মহাবিপাকে। বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে যাত্রীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, লেগুনা, মোটরসাইকেল ও উবারের অফলাইনের গাড়িতে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আর শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ, সিবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পার হচ্ছে ফেরিতে।
অন্যদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীরা ভ্যান, মোটরসাইকেল করে ঢাকার উদ্দেশ্য কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। যার অধিকাংশই বিভিন্ন কলকারখানা ও গার্মেন্টসে কর্মরত।
এদিকে, মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম মিয়া জানান, সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর এই নৌ-রুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরির মধ্যে ১০টির চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে, জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ও সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পারাপারের ৭টি ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করতো। যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন চালু রয়েছে ১২ থেকে ১৪টি ফেরি।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির বলেন, মনে হচ্ছে ঈদের কেনা-কাটা শেষে লোকজন ঈদ করতে বাড়িতে ফিরছে। দক্ষিণবঙ্গমুখী শতশত লোক আজ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি দিয়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটছে। সরকার সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও দোকানপাটও পুরোপুরি না খোলায় তারা এখন হয়তো আবার বাড়ি ছুটছে। তবে করোনার ভয় ডর নেই তাদের মাঝে। এদের মধ্যে কারো করোনা থাকলে, তা কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই হিলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীর ঢল, সেই সাথে বেড়েছে ছোট ছোট গাড়ির চাপ। এক দেড় কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়েছে এ ছোট গাড়ির চাপ। ঢাকা থেকে লোকজন বিভিন্ন ধরণের ছোট ছোট গাড়িতে করে মাওয়ায় এসে ফেরি পার হচ্ছে।
সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।