ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (১১ মে) রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ জানান, সায়েদাবাদের বাসায় ইফতারের পর ওজু করতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। তারপর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মাওলানা নেজামীর মৃত্যুতে দলীয় নেতাকর্মী এবং ইসলামি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান।

আব্দুল লতিফ নেজামীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুকালে আবদুল লতিফ নেজামীর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

২০১২ সালে মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ইন্তেকালের পর ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান হন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। দলটি আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক থাকলেও কয়েক বছর আগে ঘোষণা দিয়ে জোট ত্যাগ করে। পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বাড়ে। গত নির্বাচনে মহাজোটে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি।

সাদামাটা জীবনের অধিকারী ও সহজ সরল মানুষ হিসেবে মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর খ্যাতি রয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দৈনিক সরকার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মাওলানা নিজামীকে ইসলামি রাজনীতির জীবন্ত কোষ বলা হয়। নেজামে ইসলামে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। ইসলামি আন্দোলনের বিভিন্ন বাঁক ও প্রতিকূল মুহূর্তেও তিনি আক্রমণাত্মক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর হাসিমুখে দিতেন। এটা তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিলো। তার জানাজার স্থান ও সময়ের বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।