নামাজের অনুমতি দিয়ে আগের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজ থেকে ১২ শর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গতকাল এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের আলেমরা রমজান মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। সম্প্রতি সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। ফলে ১২টি শর্ত

মেনে চলার শর্তে ৭ মে (বৃহস্পতিবার) জোহরের ওয়াক্ত থেকে সুস্থ মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শর্তগুলো হচ্ছে- মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না এবং প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিরা জায়নামাজ নিয়ে আসবেন; মসজিদের গেটে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং সব মুসল্লিকে মাস্ক পরে আসতে হবে; মুসল্লিদের বাসা থেকে অজু করে ও সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; নামাজের কাতারে তিন ফুট পর পর দাঁড়াতে হবে; এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে; শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশ নিতে পারবেন না; মসজিদের অজুখানায় সাবান বা স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং মসজিদের সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মানতে হবে; মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না; প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইতেকাফের জন্য অবস্থান করতে পারবেন; করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মসজিদে নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে দোয়া করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে; খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন, নইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ৬ এপ্রিল মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর ২৪ এপ্রিল পৃথক আরেক বিজ্ঞপ্তিতে তারাবি নামাজের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বলা হয়, খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিম ও দুজন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন রমজান মাসে মসজিদে এশা ও তারাবির নামাজে অংশ নিতে পারবেন।