লালমনিরহাটের সদর উপজেলায় করোনার সঙ্গে একটানা ২২দিন সংগ্রাম করে অবশেষে সুস্থতার সনদ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন সেই বাপ-ছেলে। এঘটনায় পরিবারসহ নিকট আত্মীয়ের দুঃচিন্তার কালো মেঘ সরে বইছে স্বস্তির নিশ্বাস।

রবিবার (৩ মে) দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেন লালমনিরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল হক।

জানা গেছে, প্রথমে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোকন্দ দীঘির পাড় (গুড়িয়াদহ) এলাকার এক ব্যক্তি (৩৭) করোনায় আক্রান্ত হন। মূলত তিনি নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকের কাজ করতেন। বাড়িতে আসার পর তার করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। এরই মধ্যে তার সংস্পর্শে থেকে ৭ বছরের ছেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়।
ডাঃঃ দোলন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী করোনা রোগী সুস্থ হওয়ার পর ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি নমুনা টেস্ট করতে হয়।
দুটি রিপোর্টই নেগেটিভ হলে বাড়িতে পুনরায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়।
সেই নিয়ম অনুসরণ করে আজ তাদের রিলিজ দেয়া হলো।
জেলা সদর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, নারায়ণগঞ্জ ফেরত শ্রমিক কামরুল ইসলামের শরীরে গত ১০ এপ্রিল প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
কামরুল ইসলাম জেলার প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী।
এর দুই দিন পর তার সংস্পর্শে আসা বাড়িতে থাকা তার ৭ বছর বয়সী ছেলে সালমান হোসেনের শরীরেও করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে।
সালমান হোসেন জেলার দ্বিতীয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী।