এখন পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিটের ৮৫৪ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর পুলিশেরই (ডিএমপির) সদস্যই ৪৪৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। রোববার (৩ মে) বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত ৮৫৪ জন পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে আইসোলেশনে আছেন ৩১৫ জন। আর কোয়ারেন্টিনে আছেন ১ হাজার ২৫০ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন পাঁচজন পুলিশ সদস্য।

এর আগে শনিবার ভোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) সুলতানুল আরেফিন (৪৪)। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

শুক্রবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এক উপপরিদর্শক (এসআই) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মারা যাওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম নাজির উদ্দিন (৫৫)।

তার আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আরও দুই সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডিএমপির মারা যাওয়া দুজন হলেন-পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আ. খালেক ও ট্রাফিক কনস্টেবল আশেক মাহমুদ।

গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজধানীর আরামবাগে পুলিশ হাসপাতালে করোনা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পুলিশ সদস্য আ. খালেক। তার বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামে।

অন্যদিকে, আশেক মাহমুদ (৪২) বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মারা যান। গত ২৬ এপ্রিল করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জসিম উদ্দিন (৪০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল মারা যান।

পরের দিন বুধবার সকালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে জানানো হয়, মারা যাওয়া ওই কনস্টেবল করোনা পজিটিভ ছিলেন। দেশে তিনিই প্রথম কোনো পুলিশ সদস্য, যার করোনায় মৃত্যু হয়েছে।